শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

প্রাক-ইসলামী যুগ ( ৫০০-৬২২ খৃষ্টাব্দ) সাহিত্যিকগণ


প্রাক-ইসলামী যুগ ( ৫০০-৬২২ খৃষ্টাব্দ)


১.  আশ-শানফারা(৫১০খৃঃ)। প্রাচীন আরবের বেদুঈন কবিদের অন্যতম। তিনি দক্ষিণ আরবের ইয়ামেন প্রদেশের বিখ্যাত আযদগোত্রের বনু আওয়াস ইবনে হুজর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছাবেত ইবনে আউস আল আয়াদী। কিন্তু তাঁর কৃষ্ণ চর্ম, পুরু ঠোঁট, আর বেশী বাচালতার জন্য তিনি শানফারা নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। শানফারার সেরা কাব্যকীর্তি তাঁর ‘লামিয়াতুল আরব’। এটি আরবী কবিতাবলীর উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

২. তাআব্বাতা শাররান(৫৩০খৃঃ)। তিনি ছিলেন শানফারার সমসাময়িক কবি আর স্বভাবে তাঁরই দোসর। তাঁর জন্ম হয় আরবের তেহামা প্রদেশের কায়েস গোত্রের ফাহ্‌ম পরিবারে। তাঁর প্রকৃত নাম ছাবেত ইবনে জাবের ইবনে আবু সুফিয়ান। কিন্তু তিনি তাআব্বাতা শাররান নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। তিনি ছিলেন আরবদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সূক্ষ্ম শ্রবন শক্তি সম্পন্ন, সর্বাপেক্ষা অধিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সর্বাপেক্ষা গভীর চক্রান্তকারী ব্যক্তি।

৩. মুহাল্‌হিল বিন রাবিয়াহ (৫৩১খৃঃ)। যে মহাপ্রাণ মনিষীকে নিয়ে আরবী সাহিত্যের সূচনা, তিনি হলেন আরবী কাব্যজগতের প্রথম ‘কাসীদা রচয়িতা মুহালহিল। তাঁর জন্ম হয় আরবের নজদ প্রদেশের তাঘলিব গোত্রে। তাঁর প্রকৃত নাম আবু লায়লা ‘আদী ইবনে রাবী’আ। তাঁর কবিতাকে কেন্দ্র করেই বনু বাক্‌র ও বনু তাঘলিব গোত্রের মধ্যে ঐতিহাসিক ‘বাসুস’ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। নারী ঘেঁসা স্বভাবের জন্য তাঁর ভ্রাতা কুলাইব তাঁকেزير النساء  তথা ‘নারী সহচর’ বলে ডাকতেন।

৪. জালীলা বিনতে মুর্‌রা (৫৩৮খৃঃ)। প্রাচীন যুগের মহিলা কবিদের পথিকৃৎ হলেন জালীলা বিনতে মুররা। আরবের বিখ্যাত বাকরগোত্রের বনু শায়বান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আদি কবি মুহালহিলের ভ্রাতা কুলায়েবের পত্নী ও তাঁর হন্তা জাসসাসের ভগ্নী।
  هى أخت جساس الشيبانى   قاتل كليب بن ربيعة وهى ايضا زوجة كليب المقتول- جرجى زيدان’ تاريخ’ ج ١’ ص     ١٤٩ 



     তাঁর প্রথম কবিতা ছিল শোকগাথা মূলক কবিতা যা তিনি তাঁর ভ্রাতা কুলায়েবের মৃত্যুতে রচনা করেন।

৫. ইমরু’উল ‘কায়েস(৪৮০-৫৪০খৃঃ)। মু‘আল্লা‘কা রচয়িতা কবিকূলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক খ্যাতিমান কবি আবুল হারিছ ইমরু’উল ‘কায়েস বিন হুজর আল-কিন্দী। তিনি আরবের নজ্‌দ প্রদেশের ইয়ামেনি রাজবংশের কিন্দা গোত্রে ৪৮০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতামহের নাম হারিছ। মাতার নাম ফাতিমা। আর দুই মাতুলের নাম ছিল কুলায়েব ও মুহালহিল। কিশোর বয়স হতেই তিনি যাযাবরদের মত ঘুরে বেড়াতেন বলে তাঁকে ‘ভবঘুরে কুমার’(الملك الضليل) বলা হয়।هو أشهر الشعراء الجاهلية واشرافهم اصلا ورافعهم منزلة- جرجى زيدان’ تاريخ اداب اللعة العربية ’ ج ١’ ص ١٠٠

৬. ‘আবীদ ইবনুল আবরাস্ব (৫৫৫খৃঃ)। মু‘আল্লা‘কা কবিকূলের পর যে কয়েকজন কবি প্রাচীন আরবে অধিকতর প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন কবি ‘আবীদ ইবনুল আবরাস্ব তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আরবের নজদ প্রদেশের বিখ্যাত আসাদ গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথম জীবনে ইমরু’উল ‘কায়েসের পিতা হুজরের প্রিয় সভাসদ ছিলেন। হীরা রাজ আল-মুনঝিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে নিষ্ঠুর ভাবে নিহত হতে হয়।

৭. ত্বারাফা ইবনে আল-‘আব্‌দ ইবনে মালিক আল-বাকরী (৫৪০-৫৬৪খৃঃ)। তাঁর জনক ‘আবদ ও জননী ওয়ারদা উভয়েই বিখ্যাত মা‘আদ গোত্রীয় ব্যক্তি। তিনি পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপ আল্‌-বাহরাইনের বাকর গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন হিরার নরপতি ‘আমর বিন হিন্দের সমসাময়িক কবি। তাঁর প্রেমিকের নাম খাওলা। তিনি ছিলেন সৈনিক কবি ও ব্যঙ্গ কবিতা রচনায় সিদ্ধহস্ত। ব্যঙ্গ কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মহাকবি ইমরু’উল ‘কায়েসও তাঁর সমকক্ষ হতে পারেনা। হিরার নরপতি ‘আমর বিন হিন্দের ভগ্নীর রুপ-সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে তিনি কবিতা রচনা করার কারণে রাজা তাঁকে কৌশলে হত্যা করেন।

৮. খিরনিক বিনতে বদর ইবনে হাফফান (৫৭০খৃঃ)। যে সমস্ত মহিলা নিজেদের প্রতিভা ও অনুশীলনের মাধ্যমে প্রাচীন আরবে সাহিত্যের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশে স্থান ক’রে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন খিরনিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কবি ত্বরাফার বৈপিত্রেয় ভগ্নী। তিনি শোকগাথা মূলক কবিতা রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন।

৯. ‘হারিছ বিন হিল্লিযা (৫৮০খৃঃ)। যে সমস্ত মানব প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও নিজ প্রতিভাবলে দেশবরেণ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন কবি ‘হারিছ বিন হিল্লিযা তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান। আবূ যালিম আল-হারিছ ইবনে হিল্লিযা ইরাকের বাক্‌র গোত্রের ইয়াশকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হিল্লিযা ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। কিশোরেই তিনি মারাত্মক কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি রাজা ‘আমর বিন হিন্দের রাজ দরবারে সম্মানের উচ্চ শিখরে আরোহণ করেন। হারিছই একমাত্র কবি যিনি প্রাক-ইসলামী যুগে আবির্ভূত হয়েও মহাকবি ইমরু’উল ‘কায়েসের প্রভাব মুক্ত হয়ে কবিতা রচনা করেছেন।

১০. মুতালাম্মিস (৫৮১খৃঃ)। প্রাচীন যুগের আরবী কবিদের মধ্যে যে সমস্ত মনিষী রাজ-অনুগ্রহ লাভ করার পর রাজ-রোষের শিকার হন কবি মুতালাম্মিস তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান। তিনি আরবের বাহরায়েন প্রদেশের বিখ্যাত দ্বাবী‘আ বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম জারির ইবনে আবদুল মাসীহ। কিন্তু মুতালাম্মিস তাঁর কাব্যিক নাম। নৃপতি আমর বিন হিন্দ তাঁকে সেরা কবির মর্যাদা দান করেছিলেন এবং তাঁর ভাগ্না ত্বারাফাকেও তাঁর সহকারী নিযুক্ত করেছিলেন।

১১. উরওয়া ইবনে আল-ওয়ারদ (৫৯৬খৃঃ)। প্রাচীন যুগের সাতজন স্বো‘অলুক কবিগোষ্ঠির মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য কবি হলেন উরওয়া। তাঁর জন্ম হয়েছিল আরবের নজদ প্রদেশের ‘আব্‌স গোত্রে। প্রকৃতপক্ষে তিনি গরীবের বন্ধু ছিলেন তাই তাঁকে উরওয়া বলা হত। তাঁর চরিত্র ছিল মহৎ গুনে উদ্ভাসিত।

১২. ‘আল‘কামা ইবনে ‘আবাদা(علقمة الفحل)(৫৯৮খৃঃ)। প্রাক-ইসলামী যুগের সর্বাপেক্ষা খ্যাতিমান কবি ইমরু’উল ‘কায়েসের সমসাময়িক হিসাবে তাঁর সঙ্গে কাব্যিক দ্বন্দ্বে যাঁদের নাম জড়িত তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছেন ‘আল‘কামা। তিনি আরবের নজদপ্রদেশের বিখ্যাত তামীম বংশে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ‘আল‘কামা ইবনে ‘আবাদা ইবনে নু‘আমান ইবনে ‘কায়েস। কাব্যিক দ্বন্দ্বে ইমরু’উল ‘কায়েসের প্রাক্তন স্ত্রী উম্মে জুনদাব তাঁকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করায় ইমরু’উল ‘কায়েস তাঁকে তালা‘ক দিলে তৎক্ষণাৎ ‘আল‘কামা উম্মে জুনদাবকে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করেন। তাই তাঁকে ‘আল‘কামাতুল ফাহ্‌ল (علقمة الفحل) বলা হয়।

১৩. ‘আমর বিন কুলছুম (৬০০খৃঃ)। প্রাচীন যুগের যে সমস্ত মনিষী নিজ প্রতিভাবলে স্বীয় গোত্রের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সমর্থ হয়েছেন মহাকবি আবু ‘আব্বাদ ‘আমর ইবনে কুলছুম তাঁদের সমগোত্রীয়। তিনি ইরাক প্রদেশের মেসোপটেমিয়ার বিখ্যাত তাঘলিব গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র পনের বছর বয়সে তিনি তাঁর গোত্রের প্রধান হন। তাঁর সময়ে হীরার রাজা ছিলেন মাতৃগর্বে গর্বিত ‘আমর ইবনে হিন্দ যাকে কবি ‘আমর তাঁর মায়ের সম্মান রক্ষার্থে হত্যা করেন। তাঁর মু‘আল্লা‘কা وافر ছন্দে ১০৫ পংক্তিতে রচিত।

১৪. ‘কস ইবনে সাইদাতিল আয়াদী (৬০১খৃঃ)। প্রাচীন যুগের যে সমস্ত খৃষ্টান মনিষী আরবী সাহিত্যের চর্চা করে সুনাম অর্জন করেছিলেন ‘কস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। নাজরানের আয়াদ গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সে যুগের একজন খৃষ্টান পাদরী, তাঁর গোত্রের সর্দার এবং সর্বোপরি একজন প্রখ্যাত দার্শনিক বক্তা। রোম সম্রাট কায়সারের রাজ দরবারে তাঁর আধিপত্য ছিল। নিখিল আরবের বক্তাসম্রাট ‘কসের বক্তৃতার মধ্যে ছিল যাদুকরী প্রভাব। তিনিই সর্বপ্রথম বক্তৃতার মধ্যে اما بعد কথাটির প্রবর্তন করেন। কোন বিবাদের মীমাংসার সময় বাদীকে দোষের প্রমাণ দান করতে হবে আর বিবাদী তা অস্বীকার করলে তাকে শপথ গ্রহণ করতে হবে এই প্রথা তিনিই প্রবর্তন করেন।(البينة على المدعى واليمين على المنكر)

১৫. নাবিঘা (৬০৪খৃঃ)। প্রাক-ইসলামী যুগের প্রখ্যাত তিনজন প্রথম শ্রেণীর (ইমরু’উল ‘কায়েস, যুহায়ের ও নাবিঘা) কবিকুলের অন্যতম সেরা কবি হচ্ছেন নাবিঘা ঝুবইয়ানী। তিনি আরবের হিজাজ প্রদেশের বিখ্যাত মুদ্বার গোত্রের ঝুবিয়ান পরিবারে ৫৩৫ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু ‘আমামা যিয়াদ ইবনে মু‘আবিয়াহ ইবনে দ্বেবাব আঝ্‌-ঝুবইয়ানী। তাঁর কবিতা ঝর্ণাধারার মত (نبغ الماء)স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে প্রবাহিত হত বলেই তাঁকে নাবিঘা বলা হয়। তিনি ছিলেন হীরা-রাজ তৃতীয় নু‘অমান আবু কাবুসের সভাকবি।

১৬.‘হাতিম ত্বাই (৬০৫খৃঃ)। সুবিখ্যাত দাতা ‘হাতিম ত্বাই আরবের নজদ প্রদেশের বিখ্যাত ত্বাই গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ‘হাতিম বিন ‘আব্দুল্লাহ ইবনে সা‘আদ (حاتم ابن عبد الله ابن سعد) এবং মাতার নাম ‘ইনাব বিনতে ‘আফীফ। তিনি ছিলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী যা প্রাক-ইসলামী যুগে দুর্লভ। তিনি স্বাহাবা عدى بن حاتم এর পিতা। অত্যাধিক দানশীলতার জন্য তিনি ‘দাতা হাতিম’ হিসাবে সমধিক প্রসিদ্ধ। তিনি তার কন্যার নামানুসারে ابو سفنة নামেও পরিচিত। ত্বাই গোত্রের কবরস্থান উরওয়ারেদ্ব পর্বতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।  

১৭. যুহায়ের বিন আবি সুলমা (৬০৭খৃঃ)। তাঁর পুরো নাম যুহায়ের ইবনে আবি সুলমা রাবি‘আ ইবনে রাবাহ্‌। কবির পিতা ছিলেন আরবের নজদ প্রদেশের বিখ্যাত মুযায়না গোত্রের সন্তান। কবির পুত্র ক‘আব ও বুজায়ের পরবর্তীকালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাশীল, ধর্মভীরু এবং পরকাল সচেতন কবি। কথিত আছে তিনি চারমাসে একটি কবিতা রচনা করতেন, তারপর চারমাস ধরেতিনি উহার পরিমার্জন করতেন, এবং আরও চারমাস ব্যয় করতেন তাঁর পরিচিত কবি মহলে আলোচনা সমালোচনার জন্য। এইভাবে পূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি তাঁর কবিতা জনসাধারণের নিকট প্রকাশ করতেন। انه كان ينظم القصيدة فى اربعة اشهر ويهذبها فى اربعة ويعرضها على اخصائه فى اربعة

১৮. ‘কয়েস ইবনে আল-খাত্বিম (৬১২খৃঃ)। তিনি জন্মগ্রহণ করেন আরবের ইয়াছরেব শহরের (মদীনা) বিখ্যাত আউস গোত্রে। তাঁর পূর্বপুরুষগন ছিলেন পারস্যের অধিবাসী।

১৯. আবুল মুগাল্লিস ‘আনতারা ইবনে শাদ্দাদ আল-‘আবাসী (৬১৫খৃঃ)। তিনি ষষ্ঠ শতাব্দীতে আরবের নজদ প্রদেশের বিখ্যাত‘আব্‌স্‌ গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর জনক শাদ্দাদ ছিলেন ‘আব্‌স্‌ গোত্রের একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। তাঁর জনক যাবীবা ছিলেন একজন আবিসিনীয় ক্রীতদাসী। কবি হিসাবে তাঁর যেমন দ্যুতি ছিল, সৈনিক হিসাবেও তেমনি খ্যাতি ছিল। তাঁর প্রেমিকার নাম আবলাহ্‌। ‘আনতারার মু‘আল্লা‘কা দীর্ঘ ছন্দে ৮২ পংক্তিতে রচিত।

২০. হুসায়েন ইবনে হুমাম (৬২১খৃঃ)।الحصين بن الحمام بن ربيعة  ছিলেন কায়েস গোত্রের বনু সাহ্‌ম ইবনে মাররা পরিবারের নেতা। তিনি প্রাক-ইসলামী যুগে মূর্তি পূজার বিরোধী হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।



প্রাক-ইসলামী যুগের  আরও কয়েকজন কবি

Ø  যুহায়ের ইবনে জনাব (৫০০ খৃঃ)।তাঁর জন্ম ইয়ামেনের কুদ্বাআ গোত্রের কাল্‌বশাখায়।

Ø  আবু দুয়াদ আল--ইয়াদী (৫২০খৃঃ)। ইরাক প্রদেশের আল-ইয়াদ গোত্রে তাঁর জন্ম হয়।

Ø  ওয়ারাকাহ ইবনে নাওফাল (৫৯২খৃঃ)। তিনি কোরায়েশ বংশের একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞ খৃষ্টান পণ্ডিত। তিনি খাদিজা (রাঃ) এর পিতৃব্য পুত্রইহুদী ও খৃষ্ট ধর্মশাস্ত্রে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ছিল।

Ø  ‘আদী ইবনে যায়েদ আল-ইব্বাদী (৫৯৭খৃঃ)। হীরার বিখ্যাত আবাদ বংশে তাঁর জন্ম হয়।

Ø  মুনাখখাল ইবনে ‘আবীদ (৫৯৮খৃঃ)। হীরা রাজ তৃতীয় নু‘অমানের সভাষদ। ইরাকের বিখ্যাত বাকর-ওয়ায়েল বংশের ইয়াশকুর পরিবারে তাঁর জন্ম।

Ø  সুলায়েক ইবনে আস্‌-সালাকা (৬০৫খৃঃ)। তাঁর জন্ম হয় ইয়ামেনের বিখ্যাত সা‘অদ গোত্রে। তিনি ছিলেন প্রাচীন আরবের দুজন কৃষ্ণ দাসের (আনতারা ও সুলায়েক) অন্যতম। মুফাদ্দাল আদ্ব্‌দ্বাব্বী তাঁকে আরবের দুর্ধর্ষতম দুর্বৃত্ত, ঘৃন্যতম ব্যক্তি ও সেরা কবি বলে উল্লেখ করেছেন।

Ø  আউস ইবনে হাজার (৬১০খৃঃ)। প্রাক-ইসলামী যুগের  একজন নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর জন্ম হয় ইয়ামেনের বিখ্যাত তামীম গোত্রেতিনি মহাকবি যুহায়েরের প্রথম জীবনের রাবি ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন